বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলা সদর থেকে নৌপথে প্রায় ৪/৫ ঘন্টার রাস্তা শেষ করে রেমাক্রী থেকে পায়ে হাটার পথ।
কিভাবে যাওয়া যাবে:
0
মারমা ভাষায় 'খুম' মানে হচ্ছে জলপ্রপাত। রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর সেই জলপ্রপাতে, যার নাম 'নাফাখুম'। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ এই নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে হঠাৎ করেই নেমে গেছে প্রায় ২৫-৩০ ফুট....প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত! সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে বর্ণিল রংধনু! ভরা বর্ষায় রেমাক্রি খালের জলপ্রবাহ নিতান্ত কম নয়... প্রায় যেন উজানের সাঙ্গু নদীর মতই। পানি প্রবাহের ভলিউমের দিক থেকে সম্ভবতঃ নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। পানির গরগর করে ঝড়ে পড়ার শব্দে চারদিক মুখরিত। বর্ষার সময় ঝর্নার আকার বড় থাকে আর শীত মৌসুমে তা ক্ষীন হয়ে যায়। সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাসে নাফাখুমের প্রকৃত সৌন্দর্য দেখা যায়। একে বাংলার নায়াগ্রা বললে ভূল বলা হবে বা। পাহাড়, নদী আর পাথুরে খাল দেখে মনে হবে যেন কোন হলিউডের সিনেমার ভেতরে আছি। দুপাশের সবুজ পাহাড়ী বন আর পাথুরে ভুমি নাফাখুম ঝর্নাকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রা, করেছে আরো আকর্ষনীয়। আমাদের দেশে এমন সুন্দর জায়গা আছে তা বিশ্বাস করাই মুশকিল।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস